নোয়াখালীর জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত – দর্শনীয় স্থান ও বিখ্যাত খাবার

নোয়াখালী জেলা তার মনোরম সৌন্দর্য, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, অতিথি আপ্যায়ন এবং এই জেলার তৈরি খাবার ও পিঠার জন্য বিখ্যাত।

নোয়াখালী জেলার অবস্থান বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলে। জেলাটি চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্ভুক্ত। নোয়াখালীর আয়তন মোট ৩৪৩৫.৬৩ বর্গ কিলোমিটার। সর্বশেষ আদমশুমারি ২০২২ অনুসারে, এ জেলার মোট জনসংখ্যা ৯১ লক্ষ ৬৩ হাজার ৭৬০ জন। যার মধ্যে পুরুষ ৪৫ লক্ষ ৬৬ হাজার ৩৯ জন এবং মহিলা ৪৫ লক্ষ ৯৭ হাজার ৭৬ জন।

নোয়াখালীর পূর্ব নাম ছিল ভুলুয়া। ১৮৬৮ সালে ভুলুয়া থেকে “নোয়াখালী” নামকরণ করা হয়। এই জেলার উত্তরে কুমিল্লা জেলা দক্ষিণে মেঘনার মোহনা এবং বঙ্গোপসাগর পূর্বে ফেনী জেলা এবং চট্টগ্রাম জেলা অবস্থিত পশ্চিমে লক্ষীপুর ও ভোলা জেলা অবস্থিত।

উপজেলার সংখ্যানুসারে নোয়াখালী বাংলাদেশের একটি “এ” শ্রেণীভুক্ত জেলা। নোয়াখালী বাংলাদেশের একমাত্র জেলা, যার নিজের নামে কোন শহর নেই।

নোয়াখালী কিসের জন্য বিখ্যাত

ইতিহাস থেকে জানা যায় নোয়াখালী জেলা তার নিজস্ব ভাষা, অতিথি আপ্যায়ন, এখানকার খাবার ও পিঠা, মনোরম সৌন্দর্য, এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিখ্যাত।

এ জেলার ভাষা বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার মানুষের কাছে কম বেশি জনপ্রিয়। সবচেয়ে মজার ব্যাপার যার কাছে শুনতে যেমনই লাগুক, নোয়াখালীর মানুষদের নোয়াখাইল্যা ভাষা বুঝতে কষ্ট হয়না কারো।

এটাই মানুষের কৌতুহলের অন্যতম কারন। নোয়াখালী জেলার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ উপকূলীয় এলাকা নিয়ে গঠিত এবং বাকি বেশিরভাই এলাকা সমতলভূমি।

আরও পড়ুন:

নোয়াখালীর ভাষা

নোয়াখালী কিসের জন্য বিখ্যাত? এই প্রশ্নের উত্তরে বলতে হবে, নোয়াখালীর ভাষার জন্য এই জেলা বিখ্যাত। এখানকার মানুষের একটি নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী ভাষা রয়েছে। নোয়াখালীর ভাষাই এখানকার সবচেয়ে আকর্ষনীয় বিষয়। এই ভাষার জনপ্রিয়তা ও পরিচিতি সারা দেশ জুড়েই আছে।

আতিথেয়তা

নোয়াখালীর মানুষ অত্যন্ত অতিথিপরায়ণতা। আপনি একজন ফকির, মিসকিনের ঘরে গেলেও আপনাকে খালি মুখে বের হতে দিবে না। নিজে না খেয়ে হলেও আপনাকে তারা নাস্তা করিয়ে দিবে।

এই দিক থেকে নোয়াখালী জেলা এগিয়ে আছে। অন্য জেলায়ও এমন আছে। তবে নোয়াখালীতে অতিথিপরায়ণতা একটু ভিন্ন মাত্রায় পৌছে আছে। তারা বিভিন্ন ভাবে অতিথিপরায়ণতা করে থাকে। অনান্য জেলা থেকে এগিয়ে আছে। তাই আমরা এইটাও নোয়াখালী বিখ্যাত একটা কারন হিসেবে গণ্য করতে পারি।

নোয়াখালীর দর্শনীয় স্থান

নোয়াখালী জেলার দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে- নিঝুম দ্বীপ, মুছাপুর ক্লোজার, বজরা শাহী মসজিদ, গান্ধী আশ্রম, ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক, কল্যান্দী জমিদার বাড়িসহ উল্লেখযোগ্য এসব স্থানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সংস্কৃতি, আতিথিয়তা এবং বন্ধুত্বপূর্ণ মানুষ পর্যটকদের আকর্ষণ করে।

নোয়াখালীর দর্শনীয় স্থান

১. নিঝুম দ্বীপ

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার দক্ষিণ-পশ্চিমে বঙ্গপসাগরের বুক চিরে জেগে ওঠা ছোট্ট একটি ভূ-খন্ডের নাম নিঝুম দ্বীপ। বাল্লার চর, কামলার চর, চর ওসমান ও চর মুরি এই চারটি প্রধান দ্বীপ ও বেশ কয়েকটি ছোট চরের সমন্বয়ে ১৯৫০ সালের শুরুর দিকে দ্বীপাঞ্চলটি জেগে ওঠে। যার আয়তন প্রায় ১৪,০৫০ একর।

প্রথমে স্থানীয় জেলেরা দ্বীপটি আবিষ্কার করে। তারা এর নাম দেয় বালুয়ার চর, যা পরবর্তীতে বল্লার চরে রূপান্তরিত হয়। তবে অনেকের মতে দ্বীপটির প্রাচীন নাম চর ওসমান। ওসমান নামের এক ব্যক্তি মহিষের দল নিয়ে সর্ব প্রথম এই দ্বীপে বসবাস শুরু করেন। পরে হাতিয়ার সাবেক সাংসদ আমিরুল ইসলাম কালাম এই নাম বদলে নিঝুম দ্বীপ নামকরণ করেন।

বাংলাদেশের বনবিভাগ ৭০-এর দশকে বন বিভাগের কার্যক্রম শুরু করে। প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে চার জোড়া হরিণ ছাড়ে। ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দের হরিণশুমারি অনুযায়ী হরিণের সংখ্যা ২২,০০০। নোনা পানিতে বেষ্টিত নিঝুম দ্বীপ এখন কেওড়া গাছ এবং হরিণের অভয়ারণ্য।

নিঝুম দ্বীপে রয়েছে প্রায় ৩৫ প্রজাতির পাখি। এছাড়াও শীতের মৌসুমে অজস্র প্রজাতির অতিথির পাখির অভয়ারণ্যে পরিণত হয় নিঝুম দ্বীপ তাই দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে জায়গাটি অনায়াসে সবার মন কেড়ে নেয়।

নিঝুম দ্বীপ সম্পর্কে জানতে আরও পড়ুন নিঝুম দ্বীপ কেন বিখ্যাত

২. মুছাপুর ক্লোজার

মুছাপুর ক্লোজার প্রথম দেখাতে মনে হবে সৈকত। খানিক পরে ভ্রম কাটবে। এখানে খুঁজে পাবেন নদীপাড়ে সাগরের আবহ। আছে নদীর প্রাকৃতিক দৃশ্য, উত্তাল নদীতে নৌকা ভ্রমণের অসাধারণ আনন্দ-অভিজ্ঞতা, সকালের শান্ত-মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ রাখালের গান, মাঝির গান, পাখির কলতান, জেলেদের মৎস্য উৎসব, গরু-মহিষ-ভেড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির পশু-পাখিদের সৌন্দর্য ও বিকালের হিমেল হাওয়াসহ নানা গ্রাম্য ঐতিহ্য আর প্রাকৃতিক দৃশ্য।

নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর গ্রামে অবস্থিত মুছাপুর ক্লোজার ভ্রমণপিপাসু মানুষের জন্য মনমাতানো একটি জায়গা। বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষা ছোট ফেনী ও বামনী নদীর পাশে অবস্থিত এটি। দেখতে সমুদ্র সৌকতের মত এই নদীপাড় স্থানীয়দের কাছে ‘মিনি কক্সবাজার’ হিসেবেও পরিচিত।

মুছাপুর ক্লোজার এলাকায় প্রায় তিন হাজার ২শ ৮২ দশমিক ৮২ একর বনবিভাগের জমি জুড়ে মনোরম বনাঞ্চল রয়েছে। এই ফরেস্ট বাগানে রয়েছে ঝাউ, কেওড়া, পিটালী, খেজুর, লতাবল, গেওয়া, শনবলই, বাবুলনাটাই, আকাশমনিসহ বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান গাছ।

এখানে রয়েছে ঘুঘুসহ বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির পাখির অভয়স্থল। শীতের মৌসুমে সুদুরথেকে আসা অতিথি পাখিরাও এখানে আসতে ভুল করে না। বনে হিংস্র পশুর ভয় না থাকলেও রয়েছে শিয়াল, বনবিড়াল ও সাপসহ বিভিন্ন প্রজাতির পশু ও সাপ।

তবে সাপগুলো নিশাচর। এই বাগানের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া সরু রাস্তা ধরে হাঁটতে হাঁটতে একটু ভেতরে প্রবেশ করলে মনে হবে এ যেন আরেকটি ভূবন।

৩. বজরা শাহী মসজিদ

নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে ৮ কিলোমিটার উত্তরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে অবস্থিত বজরা শাহী মসজিদ। দিল্লির শাহী জামে মসজিদের অনুকরণে নির্মিত হয়েছে এই মসজিদ।

জনশ্রুতি আছে, দিল্লির সম্রাট বাহাদুর শাহ বেগমগঞ্জের বজরা অঞ্চলের জমিদারি দান করেছিলেন দুই সহোদর আমান উল্যা ও ছানা উল্যাকে। তারা একটি দীঘি খনন ও মসজিদ নির্মাণের জন্য ১০০ একর জমির বন্দোবস্ত দেন।

বজরা শাহী মসজিদের সম্মুখভাগেই সেই দীঘি। মার্বেল পাথরের তৈরি মসজিদটির প্রধান ফটকের দুই পাশে আছে দুটি দেয়ালঘড়ি।

৪. গান্ধী আশ্রম

গান্ধী আশ্রম নোয়াখালীর একটি দর্শনীয় ও ঐতিহাসিক নিদর্শন। জেলা সদর মাইজদী কোর্ট থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে সোনাইমুড়ি উপজেলার জয়াগ বাজার সংলগ্ন সড়কের পাশেই এর অবস্থান।

তৎকালীন জমিদার ব্যারিস্টার হেমন্ত কুমার ঘোষের বাড়িতে এটি স্থাপিত হয়। ট্রাস্টটি প্রথমে আম্বিকা কালিগঙ্গা চ্যারিটেবল ট্রাস্ট হিসেবে নিবন্ধনকৃত হলেও ১৯৭৫ সালে মহাত্মা গান্ধীকে নিবেদিত একটি স্মারক কমপ্লেক্সে পরিনত হয়।

১৯৪৬ সালে গান্ধী তার নোয়াখালী সফরের সময় যেখানে অবস্থান করেছিলেন সেখানে এটি তৈরি করা হয়েছিল। গান্ধি আশ্রমে গান্ধীজির নামে একটি জাদুঘর আছে যাতে গান্ধীজির তখনকার নোয়াখালী সফরের শতাধিক ছবি ও ব্যবহৃত জিনিসপত্র ও প্রকাশিত লেখা সংরক্ষিত আছে।

গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য এবং মহাত্মা গান্ধীর জীবন ও কাজ সম্পর্কে জানার জন্য এটি একটি দুর্দান্ত জায়গা।

৫. ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণে ধর্মপুর গ্রামে দৃষ্টিনন্দন গাছগাছালি পরিবেষ্টিত প্রায় ২৫ একর জায়গাজুড়ে বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে তোলা করা হয়েছে ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক। শিশুসহ সব বয়সী বিনোদন পিপাসু মানুষের জন্য বৃহত্তর নোয়াখালীর সর্ববৃহৎ বিনোদন কেন্দ্র এ নোয়াখালী ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক।

সুইং কেয়ার, কিডি হেলিকপ্টার, সোয়ান বোট, ফ্লাওয়ার কাপ, কপি কাপ, কিডি ট্রেন, ফ্যামেলি ট্রেন, মেরি গো রাউন্ড, প্যারা টু পার্ক, বাইকিং বোট, নাগরদৌলা ইত্যাদি রাইডগুলো রয়েছে সব বয়সিদের আনন্দ দেয়ার জন্য।

৬. কল্যান্দি জমিদার বাড়ী

নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলাধীন কল্যান্দি গ্রামে রায় চৌধুরী জমিদার বাড়ীটি অবস্থিত। এই জমিদার বাড়ীর বংশধর দীনেশ রায় চৌধুরীর সাথে কথা বলে জানা যায় প্রায় আড়াইশত বছর পূর্বে রামেন্দ্র রায় চৌধুরী ও কাঙ্গালী রায় চৌধুরী প্রায় ২০ একর জায়গাজুড়ে এই জমিদার বাড়ী প্রতিষ্ঠা করেন।

বর্তমানে জমিদারী না থাকলেও কালের সাক্ষী হয়ে রয়ে গেছে এ সকল ঐতিহাসিক স্থাপনা। জমিদার বাড়ীর জরাজীর্ণ ভবন দেখার জন্য এখনও পর্যটকদের এ জমিদার বাড়ীতে সমাগম হয়।

এছাড়াও নোয়াখালী জেলার আরও উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থানগুলো হলো কমলার দিঘি (হাতিয়া), গ্রীন পার্ক (সোনাইমুড়ি), শহীদ মোহাম্মদ রুহুল আমিন স্মৃতি জাদুঘর (সোনাইমুড়ি), স্বর্ন দ্বীপ (জাহাজীর চর,হাতিয়া), মাইজদী কোর্ট বিল্ডিং দিঘি, শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম (সদর, নোয়াখালী), দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থা পার্ক (হাতিয়া), কমলার দিঘী (বেগমগঞ্জ) ইত্যাদি।

নোয়াখালী কি খাবারের জন্য বিখ্যাত

নোয়াখালী জেলার বিখ্যাত খাবারের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কলাপাতায় মরিচ খোলা বা পাতুরি, খোলাজালি পিঠা (খোলাজা পিঠা), খাইস্যরা (সিমের বিচির তরকারি), সাইন্না পিঠা (ম্যারা পিঠা), নারিকেল পুলি পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, নারকেল নাডু, মহিষের দুধের দধি ইত্যাদি।

নোয়াখালীর বিখ্যাত খাবার

১. কলা পাতায় মরিচ খোলা বা পাতুরি

নোয়াখালীর সবথেকে জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী খাবার হলো মরিচ খোলা। অতিথি আপ্যায়নে সব আইটেমের পাশাপাশি মরিচ খোলা থাকবেই। অথেনটিক ভাবে রান্না করতে পারলে শুধু মরিচ খোলা দিয়েই পেট পুরে খাওয়া যায় অনেক। মরিচ খোলা মূলত কলাপাতা দিয়ে মুড়িয়ে ছোট মাছ কিংবা পাঁচমিশালী মাছ রান্নার বিশেষ এক পদ্ধতি।

২. খোলাজা পিঠা (খোলাজালি পিঠা)

নোয়াখালীর বিখ্যাত পিঠার নাম কি? নোয়াখালী জেলার বিখ্যাত পিঠা হচ্ছে ‘খোলাজা পিঠা’। খোলাজালি পিঠা বা খোলাজা পিঠা চালের গুঁড়ার তৈরি একটি বাঙালি পিঠা নোয়াখালীতেই জন্ম এবং নোয়াখালী জেলা থেকেই এর পরিচিতি ছড়িয়েছে সারা বাংলাদেশসহ বহিঃ বিশ্বে। এই পিঠা নোয়াখালী জেলার ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে।

৩. খাইস্যা বা খাইস্যরা

সিমের বিচি দিয়ে তরকারি সব জেলায়ই কম বেশি খাওয়া হয়। নোয়াখালীতে সিমের বিচি ও চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করা তরকারিকে আঞ্চলিক ভাষায় খাইস্যরা বলে। সিজনে এই তরকারি নোয়াখালীর প্রতি ঘরেই কম বেশি রান্না করা হয়। নোয়াখালী জেলার খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার খাইস্যরা।

৪. সাইন্না পিঠা (ম্যারা পিঠা)

এই জেলায় শীতের সময় তৈরি করা হয় হরেক রকম পিঠা। তেমনই শীতকালীন জনপ্রিয় এক পিঠা ‘সাইন্না পিঠা’। বিভিন্ন জেলায় এই পিঠা ম্যারা পিঠা নামেও পরিচিত। শীতের সকালে সাধারণত নাশতা হিসেবে খাওয়া হয় গরম গরম সাইন্না পিঠা।

৫. নারিকেল পুলি পিঠা

নোয়াখালীর আরেক ঐতিহ্যবাহী পিঠা নারিকেল পুলি পিঠা। বিশেষ করে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে কিংবা বিশেষ মেহমান আপ্যায়নে এই পিঠা পরিবেশন অনেকটাই বাধ্যতামূলক হিসেবে ধরে নেয়া হয়।

৬. মহিষের দুধের দধি

নোয়াখালী জেলার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন মহিষের দুধের দধি। সব এলাকায় এই দধি জনপ্রিয় হলেও অথেনটিক মহিষের দুধের দধি খেতে চাইলে আপনাকে আসতে হবে নোয়াখালী জেলায়। নোয়াখালী জেলার বেশ কিছু অঞ্চলে আছে অসংখ্য মহিষের বাথান (যেখানে শত শত মহিষ পালন করা হয়)।

মহিষের বাথান থেকে দুধ সংগ্রহ করে কোনো ধরনের কেমিক্যাল বা বাড়তি কোনো উপকরণ ব্যবহার না করে একদম অথেনটিক ভাবে তৈরি করা হয় মহিষের দধি।

দেশ-বিদেশে ভ্রমন সংক্রান্ত নিত্য নতুন তথ্য ও টিপস পেতে ভিজিট করুন GhuraGhuri.com

Similar Posts

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।